সঙ্গিনীর আলো জ্বেলে সঙ্গমে অনীহা? কী করণীয়,

সঙ্গিনীর আলো জ্বেলে সঙ্গমে অনীহা? কী করণীয়,

ঝুম্পা লাহিড়ির ইন্টারপ্রেটার অফ দ্য ম্যালাডিজ গল্পটা মনে আছে? যেখানে দোভাষী কখনই সঙ্গমের সময়ে তাঁর স্ত্রীকে সম্পূর্ণ নগ্নবস্থায় দেখার আনন্দ উপভোগ করেননি?

এই কাহিনির প্রসঙ্গ টেনে আনার কারণ একটাই! এমন অনেকেই আছেন যাঁরা সঙ্গমের সময়ে নিজেদের শারীরিক কাঠামো নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। ফলে হয় তাঁরা সহজে নগ্ন হয়ে ধরা দিতে চান না অন্য পক্ষের বাহুবন্ধনে, নয় তো ঘরের আলো নিভিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। এই পর্বে বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়ালকে চিঠি দিয়েছেন তেমনই এক সমস্যা নিয়ে জনৈক পাঠক। লিখেছেন যে তাঁর স্ত্রী সঙ্গমের সময়ে আলো জ্বালিয়ে রাখতে পছন্দ করেন না। অথচ তিনি তাঁর স্ত্রীকে এই সময়ে দেখতে চান! প্রতিকারের উপায় চেয়ে তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন পল্লবীর।

 

 

১. সবার প্রথমেই বিশেষজ্ঞা জানিয়েছেন যে মহিলাদের মধ্যে নিজেদের শারীরিক কাঠামো নিয়ে বেশির ভাগ সময়েই একটা হীনম্মন্যতা দেখা যায় সামাজিক ধারণার চাপে। তাংরা নিজেদের যথেষ্ট আকর্ষণীয় বলে মনে করেন না, ফলে সঙ্গমের সময়ে নিজেদের মেলে ধরতে লজ্জা পান! এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সঙ্গীর সহযোগিতা একান্ত কাম্য। তাই পল্লবী পরামর্শ দিচ্ছেন যে এরকম হলে সঙ্গিনীর শারীরিক গড়নের ঘন ঘন প্রশংসা করতে হবে, সঙ্গমের সময়ে তো বটেই, এমনকি তার বাইরেও! তাহলেই একমাত্র তাঁর দ্বিধা কাটবে ধীরে ধীরে।

২. এমনও হতে পারে যে ঘরের আলোয় খুব একটা স্বচ্ছন্দবোধ করছেন না সঙ্গিনী, কিন্তু অন্য ধরনের আলোয় সেই সঙ্কোচ কেটে যেতে পারে। এক্ষেত্রে পল্লবী সঙ্গমের সময়ের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ধরনের কোনও আলো লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। হিমালয়ান সল্ট ল্যাম্প বা নানা ধরনের সুগন্ধি মোমের আলো এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

৩. আবার এমনটাও হতেই পারে যে অন্ধকারে সঙ্গমে রত হওয়াটাই সঙ্গিনীর যৌন চাহিদার ধরন! সেক্ষেত্রে তাঁর ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন